বর্তমান প্রেক্ষাপট
সম্প্রতি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সতর্ক করে বলেছেন, “কেউ যেন মাইনাস টু ফর্মুলা নিয়ে আবার চিন্তা না করে।” তার এই বক্তব্যের পর দেশব্যাপী আলোচনা শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এবার টার্গেট করা হয়েছে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে।
রাজনীতিশূন্য বাংলাদেশ ও বিনিয়োগের সংকট
বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে, একটি বিদেশি শক্তির ইন্ধনে বাংলাদেশকে রাজনীতিহীন করে তোলার চেষ্টা চলছে। এর ফলে দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট হতে পারে। এরই মধ্যে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়টি নিয়েও রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন রয়েছে। তারেক রহমানের দেশে ফিরে আসার প্রশ্নও অনিশ্চিত।
প্রথম আলোর ভূমিকা ও বিতর্ক
রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের পেছনে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। বিশেষ করে, দেশের একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা প্রথম আলো দীর্ঘদিন ধরে মাইনাস টু ফর্মুলার পক্ষে মতামত দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ২০০৭ সালে এই পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমান দুই নেত্রীকে রাজনীতি থেকে সরানোর পক্ষে সম্পাদকীয় লিখেছিলেন।
সচেতন নাগরিকদের উদ্বেগ
সাম্প্রতিককালে কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর অফিসের সামনে গরু জবাই করে বিক্ষোভ করা হয়। বিক্ষোভকারীরা প্রথম আলোকে ভারতের “র”-এর এজেন্ট বলে দাবি করে। তাদের মতে, এই পত্রিকা দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করছে এবং দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে।
অতীতের মাইনাস টু ফর্মুলা
২০০৭ সালের সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে মাইনাস টু ফর্মুলা কার্যকর করার চেষ্টা হয়েছিল। দুই নেত্রীকে গ্রেপ্তার করে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। এবারও অনেকে মনে করছেন, একই ধরনের ষড়যন্ত্র হচ্ছে, যা দেশের রাজনীতিতে অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে পারে।
উপসংহার
বাংলাদেশের রাজনীতিতে মাইনাস টু ফর্মুলা একটি বিতর্কিত ও স্পর্শকাতর বিষয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জনগণের ইচ্ছা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া উপেক্ষা করে এ ধরনের ষড়যন্ত্র কোনোভাবেই সফল হবে না। দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সকল পক্ষকে সচেতন থাকতে হবে।
আপনার মতামত কী? আপনি কি মনে করেন মাইনাস টু ফর্মুলা আবারও কার্যকর হতে পারে? কমেন্টে জানান।