বাংলাদেশে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে আপনাকে বিআরটিএ (বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি)-এর নির্ধারিত নিয়ম ও প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। নিচে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তি, নবায়ন এবং ডুপ্লিকেট লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় ধাপগুলো দেওয়া হলো:
ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির প্রক্রিয়া
১. লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন:
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
- নির্ধারিত ফরমে আবেদন।
- রেজিস্টার্ড ডাক্তারের মেডিক্যাল সার্টিফিকেট।
- ন্যাশনাল আইডি কার্ড/জন্ম সনদ/পাসপোর্টের সত্যায়িত ফটোকপি।
- নির্ধারিত ফি জমাদানের রশিদ।
- ১ ক্যাটাগরি: ৩৪৫/- টাকা।
- ২ ক্যাটাগরি: ৫১৮/- টাকা।
- সদ্য তোলা ৩ কপি স্ট্যাম্প সাইজ ও ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
- প্রক্রিয়া:
- আবেদন জমা দিয়ে লার্নার লাইসেন্স গ্রহণ।
- প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর লিখিত, মৌখিক এবং ফিল্ড টেস্টে অংশগ্রহণ।
২. স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন:
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
- নির্ধারিত ফরমে আবেদন।
- রেজিস্টার্ড ডাক্তারের মেডিক্যাল সার্টিফিকেট।
- ন্যাশনাল আইডি কার্ড/জন্ম সনদ/পাসপোর্টের সত্যায়িত ফটোকপি।
- নির্ধারিত ফি জমাদানের রশিদ।
- পেশাদার: ১৪৩৮/- টাকা।
- অপেশাদার: ২৩০০/- টাকা।
- পেশাদার লাইসেন্সের জন্য পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদন।
- সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের প্রক্রিয়া
(ক) অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স:
- ফি:
- মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিনের মধ্যে: ২১৮৫/- টাকা।
- ১৫ দিনের পর প্রতি বছর ২০০/- টাকা জরিমানা।
(খ) পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স:
- ফি:
- মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিনের মধ্যে: ১৩২৩/- টাকা।
- ১৫ দিনের পর প্রতি বছর ২০০/- টাকা জরিমানা।
- পুনরায় ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ আবশ্যক।
ডুপ্লিকেট ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
- নির্ধারিত ফরমে আবেদন।
- জিডির কপি ও ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্স।
- নির্ধারিত ফি (৬৩৩/- টাকা) জমাদানের রশিদ।
- সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
গুরুত্বপূর্ণ লিংকসমূহ
- লার্নার লাইসেন্স ফর্ম: লার্নার লাইসেন্স ফর্ম ডাউনলোড করুন
- ড্রাইভিং লাইসেন্স ফর্ম: লাইসেন্স ফর্ম ডাউনলোড করুন
- মেডিক্যাল সার্টিফিকেট ফর্ম: মেডিক্যাল ফর্ম ডাউনলোড করুন
যেকোনো ধরণের তথ্য বা সহায়তার জন্য বিআরটিএ-এর ওয়েবসাইটে (www.brta.gov.bd) প্রবেশ করুন।