গোল্ডের মূল্য এবং মার্কিন ডলারের মধ্যে একটি বিপরীত সম্পর্ক রয়েছে। এই সম্পর্ক কীভাবে কাজ করে তা নিচে ব্যাখ্যা করা হলো:
১. বিপরীত সম্পর্ক
গোল্ডের মূল্য সাধারণত মার্কিন ডলারের মূল্যের বিপরীতে চলে। যখন ডলারের মান বৃদ্ধি পায়, তখন গোল্ডের দাম সাধারণত কমে যায়, কারণ ডলার শক্তিশালী হলে অন্যান্য মুদ্রার জন্য গোল্ড কেনা ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে। আবার, ডলারের মান কমলে গোল্ডের দাম বাড়তে থাকে, কারণ তখন এটি অন্যান্য মুদ্রার বিনিয়োগকারীদের জন্য সস্তা হয়ে যায়।
২. মুদ্রাস্ফীতি ও অর্থনৈতিক সংকট
যখন অর্থনৈতিক সংকট বা মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কা থাকে, তখন বিনিয়োগকারীরা গোল্ড কিনে, কারণ এটি মূল্য সংরক্ষণে সক্ষম। এতে গোল্ডের দাম বেড়ে যায় এবং ডলারের মান হ্রাস পায়। এভাবে গোল্ড মুদ্রাস্ফীতি এবং অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সময়ে বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি নিরাপদ বিকল্প হিসেবে কাজ করে।
৩. মার্কিন ডলারের রিজার্ভ কারেন্সি স্ট্যাটাস
মার্কিন ডলার বিশ্বব্যাপী প্রধান রিজার্ভ কারেন্সি হওয়ার কারণে, এর মানের পরিবর্তন গোল্ডের দামে প্রভাব ফেলে। যখন ডলারের চাহিদা কমে, তখন বিনিয়োগকারীরা গোল্ডের দিকে ঝোঁকে, যা গোল্ডের দাম বাড়িয়ে দেয়।
এই কারণগুলোই দেখায় যে গোল্ডের মূল্য এবং মার্কিন ডলারের মধ্যে একটি জটিল এবং বিপরীত সম্পর্ক রয়েছে।