১৯৬৮ সালের ডিসেম্বরে অ্যাপোলো ৮ মিশনে বিল অ্যান্ডারস, ফ্র্যাঙ্ক বোর্মান এবং জিম লোভেল প্রথমবারের মতো পৃথিবীর কক্ষপথ ছেড়ে চাঁদের দিকে পাড়ি দিয়েছিলেন। তারা চাঁদের চারপাশে ১০ বার প্রদক্ষিণ করেন, এবং সেই ঐতিহাসিক মিশনে ২৪শে ডিসেম্বর অ্যান্ডারস একটি অসাধারণ মুহূর্ত ধারণ করেন। তিনি পৃথিবীর প্রথম উদয়মান ছবি তুলে বলেন, “ওহ আমার ঈশ্বর! দেখো ওখানে সেই ছবি! কত সুন্দর দেখাচ্ছে!” এই ছবিটি পরবর্তীতে ‘আর্থরাইজ’ নামে পরিচিত হয়, যা পৃথিবীকে নতুনভাবে দেখার সুযোগ দেয়।

১৯৮৭ সালে লেখক ফ্র্যাঙ্ক হোয়াইট এই অভিজ্ঞতাকে “ওভারভিউ ইফেক্ট” নামে পরিচিত করেন। মহাকাশ থেকে পৃথিবীকে দেখার এই অভিজ্ঞতা অনেক মহাকাশচারীর কাছে “অবর্ণনীয়” ছিল। এটি পৃথিবীকে একটি একক এবং অবিভক্ত গ্রহ হিসেবে দেখায়, যেখানে জাতি বা সীমানার কোনো বিভেদ নেই। এই অভিজ্ঞতা পরিবেশ রক্ষার জন্য এক নতুন দায়িত্ববোধ জাগায় এবং বিশ্বব্যাপী সহযোগিতার গুরুত্বের প্রতি গভীর সচেতনতা সৃষ্টি করে।

ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির (ESA) মহাকাশচারী আন্দ্রে কুইপার্স দুইবার এই ওভারভিউ ইফেক্টের অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন। প্রথমবার ২০০৪ সালে এবং দ্বিতীয়বার ২০১১-১২ সালে। তিনি লক্ষ্য করেন যে মাত্র ৬১০ জন মানুষ পৃথিবীর কক্ষপথে পৌঁছেছেন, আর ২৪ জন (যাদের মধ্যে বিল অ্যান্ডারসও আছেন) পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথ ছেড়ে চাঁদে পাড়ি দিয়েছেন। কুইপার্স ভাবলেন, কীভাবে সাধারণ মানুষ যারা মহাকাশে যেতে পারবে না, তারা এই অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে?

এই ভাবনা থেকেই কুইপার্স তৈরি করেন স্পেসবাজ্জ প্রোগ্রাম, যেখানে ভার্চুয়াল রিয়ালিটি প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষকে ওভারভিউ ইফেক্টের মতো অভিজ্ঞতা দেওয়া হয়। তার লক্ষ্য ছিল আমাদের পৃথিবীর প্রতি দায়িত্বশীল এবং সচেতন “প্ল্যানেট আর্থের দূত” তৈরি করা।


This Bangla post captures the essence of Bill Anders’ historic Earthrise photo, the Overview Effect, and André Kuipers’ effort to bring that experience to the general public through virtual reality.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *