বিদেশ_নাকি_দেশ, পরবর্তী_প্রজন্ম, উন্নত_বিশ্ব_বনাম_দেশ, সন্তান_লালনপালন,

আমার উত্তর টি –

আপনার প্রশ্নটি সত্যিই জটিল এবং বর্তমান সময়ে অনেক অভিভাবকই এমন দোটানায় পড়েন। আপনার অভিজ্ঞতা এবং অনুভূতি খুবই বাস্তবিক কারণ দুই দিকেরই কিছু ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক রয়েছে।

দেশে থাকা মানে আমাদের শিকড়ের সাথে সংযুক্ত থাকা, আমাদের সংস্কৃতি, ভাষা, এবং আত্মপরিচয় বজায় রাখা। পাশাপাশি, পরিবারের সাথে থাকা এবং সামাজিক সম্পর্কগুলো আরও ঘনিষ্ঠ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে, দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকে আমরা অনেক সময় উন্নত সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে পারি, বিশেষ করে শিক্ষা, প্রযুক্তি ও স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে।

অন্যদিকে, বিদেশে সন্তানদের বড় করা মানে তাদের উন্নত শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, এবং আরও নিরাপদ ও সমৃদ্ধ জীবনযাত্রার সুযোগ দেওয়া। কিন্তু সেই সাথে তাদের মধ্যে কালচারাল দ্বন্দ্বের ঝুঁকিও থেকে যায়। নিজেদের শিকড়ের থেকে দূরে থাকা এবং বিভিন্ন সংস্কৃতির সাথে খাপ খাওয়ানোর সময় অনেক বাচ্চা দ্বিধায় পড়ে যায়, যা তাদের ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক জীবনে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।

সবচেয়ে ভালো হয় যদি আপনি আপনার সন্তানের জন্য দুই পরিবেশের মিশ্রণ করতে পারেন। অর্থাৎ, তাদের যেন নিজেদের দেশ সম্পর্কে পূর্ণ জ্ঞান থাকে এবং সেই সাথে বৈশ্বিক সুযোগগুলোও তারা পায়। এতে তারা যেমন বৈশ্বিক চিন্তাধারায় বড় হবে, তেমনই তাদের মূল পরিচয়ও অটুট থাকবে।

অতএব, এক্ষেত্রে আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ এবং আপনার পরিবারের মানসিক স্বস্তি—দুইয়ের মধ্যে একটি ভারসাম্য খুঁজে বের করাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *