আপনার প্রাপ্ত জমি নিজ নামে খারিজ করে নেওয়ার পরে বণ্টন বা ভাগাভাগি সংক্রান্ত কোনো পদক্ষেপ নিতে চাইলে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে:


১. খারিজ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন:

আপনার প্রাপ্ত জমি নিজের নামে খারিজ করতে হলে:

  1. খতিয়ান সংশোধন বা নামজারি আবেদন করুন:
  • সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসে (এসি ল্যান্ড অফিস) জমির মালিকানা পরিবর্তনের জন্য আবেদন করতে হবে।
  • জমির দলিল, বণ্টননামা (যদি থাকে), পূর্বের খতিয়ান এবং ট্যাক্স পরিশোধের কাগজপত্র জমা দিন।
  • নামজারি হলে আপনার নামে নতুন খতিয়ান তৈরি হবে।
  1. খারিজ সম্পন্ন হলে:
    আপনি জমির একক মালিক হিসেবে পরিচিত হবেন এবং ভবিষ্যতে জমি নিয়ে কোনো আইনি প্রক্রিয়ার জন্য এটি সুবিধাজনক হবে।

২. খারিজের পর বণ্টন বা বরাদ্দ প্রক্রিয়া:

ক. আদালতে মামলা (যদি বিরোধ থাকে):

আপনার নামে জমি খারিজ হয়ে গেলে, জমির অংশ বোনদের বরাদ্দ দিতে হলে বণ্টন পুনর্নির্ধারণের মামলা করতে হবে।

  • খারিজ করা জমির পরিমাণ ও আপনার অধিকার স্পষ্টভাবে উল্লেখ করে আদালতের মাধ্যমে বণ্টনের দাবি জানাতে হবে।
  • আদালত জমি পরিদর্শন ও ন্যায্য বণ্টনের নির্দেশ দেবেন।

খ. পারিবারিক সমঝোতা (যদি বিরোধ না থাকে):

যদি পরিবারের সবার মধ্যে সমঝোতা থাকে, তাহলে:

  1. বণ্টননামা চুক্তি তৈরি করুন:
  • জমি কীভাবে ভাগ হবে, তা লিখিত আকারে নথিভুক্ত করুন।
  • চুক্তি নোটারি পাবলিক বা ভূমি অফিসে রেজিস্ট্রি করিয়ে নিন।
  1. আলাদা খারিজ বা দলিল তৈরি:
  • বোনদের জমির অংশ আলাদা করতে তাদের নামে খারিজের আবেদন করুন।

৩. খারিজের পর জমি বিক্রি বা হস্তান্তর:

আপনি চাইলে খারিজকৃত জমির নির্দিষ্ট অংশ বিক্রি, দান বা হস্তান্তর (গিফট ডিড) করতে পারবেন। এক্ষেত্রে:

  • আপনার নামে খারিজ হওয়া জমির দলিল এবং নতুন খতিয়ান সংশ্লিষ্ট অফিসে জমা দিন।
  • ট্রান্সফার ফি বা স্ট্যাম্প ডিউটি পরিশোধ করতে হবে।

পরামর্শ:

  1. জমি খারিজের পরপরই দ্রুত পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া শুরু করুন, যাতে কোনো জটিলতা এড়ানো যায়।
  2. খারিজ এবং বণ্টন প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপে অভিজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শ নিন।

এভাবে খারিজের পর জমি বণ্টন বা বরাদ্দ দেওয়ার আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *