অর্থনৈতিক সংকটের সময় গোল্ডকে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করার মূল কারণগুলো হলো:
১. মূল্য স্থিতিশীলতা
গোল্ডের দাম সাধারণত সময়ের সাথে সাথে স্থিতিশীল থাকে এবং দীর্ঘমেয়াদে এটি মূল্য সংরক্ষণে সক্ষম। অর্থনৈতিক সংকটের সময় যখন অন্যান্য বিনিয়োগের মান কমে যায়, তখন গোল্ড তার প্রকৃত মূল্য ধরে রাখে। এজন্য বিনিয়োগকারীরা গোল্ডের দিকে ঝুঁকতে পছন্দ করেন।
২. সীমিত সরবরাহ
গোল্ডের সরবরাহ সীমিত, এবং এটি প্রাকৃতিক সম্পদ হওয়ায় নতুন গোল্ড উৎপাদন করতে অনেক সময় এবং খরচ লাগে। ফলে অর্থনৈতিক সংকটের সময় গোল্ডের দাম সাধারণত বাড়তে থাকে, কারণ চাহিদা বাড়লেও সরবরাহ সহজে বাড়ানো যায় না।
৩. মুদ্রা সংকটের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা
অর্থনৈতিক সংকটের সময় মুদ্রার মান কমতে পারে। গোল্ড একটি আন্তর্জাতিক সম্পদ হওয়ায়, এটি মুদ্রার মান কমার ঝুঁকি থেকে সুরক্ষা প্রদান করতে পারে। অনেক সময় দেশের মুদ্রার মান হ্রাস পেলে গোল্ডের দাম উল্টো বেড়ে যায়।
৪. অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং নিরাপত্তা
গোল্ড একটি “সেফ হেভেন” সম্পদ হিসাবে পরিচিত, যা বিনিয়োগকারীরা অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সময়ে ব্যবহার করে থাকেন। অর্থনৈতিক সংকটের সময় যখন শেয়ারবাজার এবং অন্যান্য বিনিয়োগের মান কমতে শুরু করে, তখন গোল্ডের নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করে।
৫. ইতিহাস এবং ঐতিহ্য
গোল্ড হাজার বছর ধরে মুদ্রা এবং সম্পদের রূপে ব্যবহৃত হয়েছে। ইতিহাসে অনেক সময়ই দেখা গেছে যে অর্থনৈতিক সংকটের সময় গোল্ডের চাহিদা বেড়েছে। এটি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে একধরনের মানসিক বিশ্বাস তৈরি করেছে যে গোল্ড সবসময় একটি নিরাপদ বিনিয়োগ।
এই কারণগুলোই অর্থনৈতিক সংকটের সময় গোল্ডকে একটি নিরাপদ বিনিয়োগ হিসাবে পরিগণিত করে।